জাফিরুল ইসলাম ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের উন্নয়নের রূপকার, মানবিক ডিসি এস.এম. রফিকুল ইসলাম। তিনি জেলায় যোগদানের পর থেকে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। জেলার সরকারী-বেসরকারী, আধাসরকারী, শায়িত্বশাসিত্ব প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজাতে শুরু করেছেন তিনি। তার এই কঠোর নির্দেশনা ও বিচক্ষনতায় কমতে শুরু করেছে অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছারিতা। সরকারী সেবার পাশপাশি সকল প্রকার সেবা জনগণের দৌরগোড়ায় পৌছে দিতে তিনি সর্বদা বদ্ধপরিকর। তিনি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পছন্দ করেন। তিনি দায়িত্বের বেলায় যেমন কঠোর তেমনি জনগণের পাশে থেকে সেবা দিতে একজন কমল হৃদয়ের মানবিক মানুষ। তিনি প্রতিনিয়ত সরকারী কাজের পাশাপাশি সর্বদা সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। তার দপ্তরে গিয়ে সকল মানুষই সঠিক ভাবে সেবাগুলো বুঝে পান। তার এই কর্মদক্ষতার উন্নয়নের ছোঁয়ায় দিন দিন পাল্টে যাচ্ছে ঝিনাইদহের মানুষের মান উন্নয়ন ও জীবনযাত্রা। তার কঠোর হস্তক্ষেপে ঝিনাইদহ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপারের সার্বিক সহযোগিতায় দিন দিন কমে যাচ্ছে জেলার দূর্বত্তয়ান, মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। ঝিনাইদহের মানুষ এখন স্বস্তিতে ও শান্তিতে বসবাস করছে। মনিরুল ইসলাম নামের এক সেবা প্রত্যাশী জানান, সম্প্রতি তিনি তার একটি ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। সুন্দর ভাবে কাজটি করতে পেরে মানষিক তৃপ্তি পেয়েছেন তিনি। হালিমা খাতুন নামের অপর একজন সেবা প্রত্যাশি বলেন তিনি আর্থিক সাহায্যের জন্য গিয়েছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা ছাড়াই সহযোগিতা পেয়ে খুশি হয়েছেন তিনি। জামির হোসেন নামের এক অসহায় সেবাপ্রত্যাশী বলেন, তিনি তার ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য গিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে। তাৎক্ষনিক ভাবে তিনি সহযোগিতা ও সঠিক পরামর্শ পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সেবা প্রত্যাশী আমীর হোসেন বলেন দেশের প্রতিটি জেলায় জেলায় যদি এমন একজন সদালাপী, হাস্যজ্জল, বিনয়ী ও মানবিক ডিসি থাকতো তাহলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সময় লাগতো না। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক এস.এম রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আপনাদের জেলায় কাজের ক্ষেত্রে এসেছি। আমি চেষ্টা করছি এ জেলাকে একটি স্মার্ট জেলায় রূপান্তরিত করতে। আপনাদের সকলের সহযোগিতা পেলে হয়তো সেটা সম্ভব হবে। আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার সকল মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। পাশাপাশি কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ছাড়াই সোহার্দ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ধর্মীয় উৎসব পালনের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।
Leave a Reply